সহজ উপায়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করুন ।

অনলাইন থেকে টাকা আয় করুন নিচের বিষয়গুলো ফলো করে খুব সহজেই
বর্তমানে বাংলাদেশের লাখো মানুষ তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করছে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার মাধ্যমে । এটি এমন নয় যে দু-চার দিন একটু সময় দিয়েই হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায় । আসল অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য থাকতে হবে বিশাল ধৈর্য্য আর ধৈর্য্য হারা হলেই আপনাকে অনলাই থেকে উপার্জনের আশা বাদ দিতে হবে । যারা মনে করেন যে, পরিশ্রম না করে শুধু ডলার ইনকাম করবেন তাঁরা সে চিন্তা বাদ দিন।
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ । প্রযুক্তির উপর মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নির্ভরশীল। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মানুষের এই প্রযুক্তি ও অনলাইনের ছায়ায় থাকে । মানুষের এখন তাই ইন্টারনেট নির্ভর মানসিকতা গড়ে উঠেছে । সেই সাথে কিভাবে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করা যায় সে রাস্তাও আবিষ্কার করে ফেলেছে । অনলাইন থেকে খুব সহজেই মানুষ এখন প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছে। এখন এই অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর উপরে দেশের লাখ লাখ মানুষ গভীর ভাবে নির্ভরশীল।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অনলাইন ইনকামের বিষয়টি খুবেই নতুন । কিন্তু সারা পৃথিবীতে এটি শুরু হয়েছে বহু আগেই । ঘরে বসে স্বাধীনভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলার মুক্ষম সুযোগ এটি ।
আজকাল ইন্টারনেট বা ফেসবুকে ঢুকলেই অনেক প্রশ্ন দেখা যায় যে, ইন্টারনেট থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়? ঘরে বসে সহজে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়? কিভাবে খুব সহজে ইন্টারনেট থেকে কাজ পাওয়া যায়? মোবাইল দিয়ে কিভাবে ঘরে বসে টাকা আয় করা যায়?
কয়েক বছর আগেও আমরা অনলাইন থেকে আয় এর বিষয়টা চিন্তা করতে পারতাম না মোটেও । কিন্তু সময়ের পরিবর্তনরে সাথে সাথে আজ তা সত্যি হয়েছে । সেজন্য অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে আয়ের পথের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে । অর্থাৎ আপনার নিজেকেও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আপনি যত দ্রুত নিজেকে তৈরি করতে পারবেন তত দ্রুত আপনার আয়ের পথ সুগম হবে ।
বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন থেকে আয় করছে কোটি কোটি টাকা। চাইলে আপনিও অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন হাজার হাজার ডলার ।
আপনাদেরকে শুরুতেই বলে নিচ্ছি যে, এই লিখাটি অনেক বড় হবে । কাজেই আপনাকে খুব ধৈর্য্যসহকারে পড়তে হবে। মনোযোগ সহকারে যদি পড়েন তাহলে ফ্রিলান্সিং নিয়ে আপনার যত প্রশ্ন আছ সকল প্রশ্নের সমাধান এই আর্টিকেলে পাবেন । আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার কিভাবে কি করা উচিত !
যা যা থাকছে এই লিখায়
যেভাবে অনলাইন থেকে আয় করবেন । (অনলাইন থেকে টাকা আয়)
আপনি বিভিন্ন ভাবে ইন্টারনেট বা অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন ।
তার মধ্যে,
- ব্লগ সাইট
- ফেসবুক
- ইউটিউব
- ইন্সটাগ্রাম
- কন্টেন্ট রাইটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট
- ভাষা Transcriber
- ইউনিক অথবা আনকমন পণ্য বিক্রয় করে
- পোর্টফলিও তৈরি
- অনলাইনে কোর্স বিক্রয়
- পরামর্শ দাতা হয়ে আয় করার উপায়
- পডকাস্ট এর মাধ্যমে অনলাইন আয় করা
- ফ্রিল্যান্সিং
- ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ রিভিও
- কাস্টমার বা ক্লাইন্ট রেফার
- ছবি বিক্রয়
- ইন্টারনেট রিসার্স এবং সার্ভে কাজ
- Appen থেকে টাকা আয়
- ডাটা এন্ট্রি জব
- ক্লিক ওয়ার্কার জব
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- এনড্রোয়েড এপস থেকে ইনকাম
- শর্ট লিংক শেয়ার করে
- গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে
- ওযেব ডিজাইন,ও ডেভেলপমেন্ট শিখে
- ই-কমার্স সাইট থেকে আয়
উল্লিখিত বিষয়গুলো এখন আপনাদের সামনে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরবো। আপনি যদি এই সেক্টরে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এই আনুচ্ছেদটি আপনাকে সার্বিক ভাবে সহায়তা করবে।
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা আগে যতোটা কঠিন ছিল তা এখন অনেকাংশে সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে । অনলাইনে ইনকামের স্বপ্ন আজ হয়েছে সত্যি । আপনি দেশের যে প্রান্তেই থাকেননা কেন সেখান থেকেই আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন । আর এজন্য আপনার শুধু প্রয়োজন ডিজিটাল ডিভাইস বা প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সংযোগ । আপনি ছেলে বা মেয়ে, ছাত্র বা চাকরিজীবী যাই হন কোন সমস্যা নেই ।নিজেই নিজের খরচ জোগাড় করতে পারবেন এখান থেকে ।
কিভাবে অনলাইন থেকে উপার্জন করবেন? (How to earn from online? )

অনলাইন থেকে টাকা আয় করার জন্য একটি বিশ্বাস্ত ও জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং । (অনলাইন থেকে টাকা আয়)
যদিও ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য সময় ও পুজি দুইটি আবশ্যক । অনলাইন থেকে টাকা আয় করার জন্য ব্লগিং একটি যোগ উপযোগী সিদ্ধান্ত। এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো অঙ্কের টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এটি একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার । আপনি আপনার মন মতো ইউনিক একটি বিষয় নিয়ে লিখবেন এই ব্লগ সাইটে। যার উক্ত বিষয়টি জানার প্রয়োজন সে ব্লগ সাইটে এসে তা পড়বে ।
এখন আপনি যে লেখাটি দেখছেন আর পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই বিষয়টা। লেখালেখি নিয়ে যদি আপনার আগ্রহ থেকে থাকে , তাহলে আপনি খুব সহজেই ব্লগ সাইট থেকে ব্লগিং এর মধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
যে বিষয় সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয় নিয়ে ব্লগিং করলে তা থেকে সবথেকে বেশি সফলতা পাওয়া যাবে।
তাই আপনি যে বিষয় সম্পর্কে বেশি জানেন বা পারদর্শী, সে বিষয় বা নিশে (niche) নিয়েই কাজ করতে পারেন। নিশ বলতে নির্দিষ্ট কিছু বিভাগ বোঝায় যেমনঃ টেকনোলজি, ভ্রমন, আইন, রান্না, খেলাধুলা, জীবনী, ইত্যাদি। উদাহরণ স্বরূপ কোনো এক জায়গায় ভ্রমনে গিয়ে আপনার যে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সেটি নিয়ে বিস্তারিত ব্লগ লিখতে পারেন।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে, কোথায় লেখা–লেখি করবেন?
আপনি যদি ব্লগ সাইট নিজে বানিয়ে নিতে পারেন তাহলে সব থেকে ভালো হয় । এখন কোনো খরচ ছাড়াই ব্লগ সাইট বানানো যায়। কিভাবে ব্লগ সাইট বানাতে হয় তা জানতে ইউটিব সার্চ করেন অনেক ভিডিও পাবেন । কিন্তু ফ্রি সাইটগুলোকে মানুষ খুব কম বিশ্বাস করে।
তাই পরামর্শ থাকবে কিছু টাকা খরচ করে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে ব্লগিং শুরু করেন । আর একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় সাইট তৈরি করুন। এরপর সেখানে ব্লগিং শুরু করুন । এক্ষেত্রে কিছু টাকা খরচ হবে ।
আর ফ্রি ব্লগ সাইট খোলার ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ব্লগান ডট কম ( Blogger.com) থেকে খুব সহজেই ব্লগসাইট খুলতে পারেন।
আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোন মাধ্যম দিয়েই কাজ করতে পারেন। যারা মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের কথা ভাবছেন তাদের জন্যও এটি হচ্ছে সুবর্ণ সুযোগ ।
যদি থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কিছুটা ধারনা , তাহলে কিন্তু আপনি সহজেই আপনার সেই ব্লগ সাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর বা ট্রাফিক আনতে পারবেন। ফলে আপনার ইনকাম বহুগুণ বেড়ে যাবে ।
ব্লগ তৈরি করার পর আপনাকে Google Adsense এ আবেদন করতে হবে। গুগল যদি আনার আবেদন গ্রহন করে তবে আপনার ব্লগ সাইটে তাদের এড সো করাবে আর এর মাধ্যমে আপনার সাইট থেকে ডলার ইনকাম হবে।

ফেইসবুক হল একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম । আজ থেকে কিছু দিন আগেও মানুষ কল্পনা করতে পারেনি যে , ফেইসবুক থেকেও টাকা ইনকাম করা যাবে । কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই ধারণা পাল্টে গেছে । বর্তমানে ফেসবুক হল টাকা আয় করার একটি বৃহৎ উৎস ।
সর্বশেষ গণনা ২০২১ অনুযায়ী দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রায় ৪০০৫০০০০ ( চার কোটি পঞ্চাশ হাজার) জন ফেসবুক ইউজার । বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজারের বেশির ভাগের বয়স ১৮ বছর থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। আপনি আপনার যে কোন ব্যবসা নিসন্দেহে শুরু করে দিতে পারবেন ফেইসবুকের মাধ্যমে ।
Please Read Facebook’s Partner Monetization Policies
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা সম্ভব দুই ভাবে ; এক পণ্য বিক্রির মাধ্যমে এবং অন্যটি ফেসবুক থেকে সরাসরি মনিটাইজেশন অন করার মাধ্যমে ।
ফেসবুকের কিছু নিয়ম-কানুন আছে যেগুলো ফলো করে আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন । কিচু শর্ত আছে যেগুলো পূরণ করতে পারলে ফেসবুক তাদের এ্যাড প্রকাশ করবে আর তা থেকে আয় করতে পারবেন।
যেভাবে ফেসবুক থেকে আয় করবেন ।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়ঃ (অনলাইন থেকে টাকা আয়)
ফেসবুকের এডব্রেকস সুবিধার মাধমে আপনি আপনার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে বা লাইভ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন । ফেসবুক বিভিন্ন কোম্পানির এড বসাবে আপনার অপলোড করা ভিডিওতে। আপনি সেই অ্যাড থেকে আয়ের কিছু অংশ পাবেন সেই এডে যদি কেউ ক্লিক করে তাহলেই । তবে আপনাকে কিছু শর্ত পুরুন করতে হবে এডব্রেকস সুবিধা পেতে ।
যেমনঃ
১। ১০০০০ (দশ হাজার) ফলোয়ার থাকতে হবে।
২। শেষ ৬০ দিনে ৬০০০০০ (ছয় লক্ষ ) মিনিট ভিউ হতে হবে এবং ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) মিনিট ভিউ হতে হবে ৩ মিনিটের বেশী ভিডিওতে কমপক্ষে ১ মিনিট করে ।
৩। ৫ টি একটিভ ভিডিও থাকতে হবে পেইজে
৪। ১৫,০০০ হাজার মানুষের নিকট শেষ ৬০ দিনে আপনার পোস্ট পৌছাতে হবে।
একই শর্ত লাইভ করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রেও ।
শুধু পূর্বের তিনটি একটিভ লাইভ ভিডিও থাকতে হবে পেইজে ।
বি:দ্র: পেইজে কোন কপিরাইট ভিডিও থাকতে পারবে না বা কপিরাইট কিছু পোস্টও করা যাবে না ।
আপনি এডব্রেকস সুবিধার জন্য আবেনদ করতে পারবেন শুধুমাত্র এই শর্তগুলি পুরন হলেই ।

বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে যারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে ইউটিউবিং করে । তাদের কারো কারো ইনকাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে । আপনিও চাইলেই ইউটিউবিং করতে পারেন।সে জন্য আপনাকে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়তে হবে ।
প্রথম অবস্থায় আপনার ভিডিও বানাতে ক্যামেরা না থাকলেও চলবে। প্রথমে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে শুরু করে দিতে পারেন আপনার ইউটিউব যাত্রা। সময়ের সাথে আপনি ভালো মানের ক্যামেরার ব্যবহার শুরু করবেন । আপনার কন্টেন্ট যদি ইউনিক ও ভালো মানের হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়িই আপনি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন।
আপনারা যদি প্রফেশনালভাবে ইউটিউবে কাজ করতে করতে চান তাহলে অডিও ও ভিডিও এডিটিং খুবই ভালো ভাবে করতে হবে যদি না পরেন তাহলে কোর্স করে শিখতে হবে ।
সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং ন্যূনতম ৪০০০ ঘন্ট ভিউ টাইম হয়ে গেলে আপনি আবেদন করতে পারবেন মানিটাইজেশন এর জন্য । এর পরে প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন অন করে নিলেই আপনার ইউটিউব থেকে ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
তাছাড়াও আপনি স্পন্সারের মাধ্যমেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ইনকাম করতে পারেন। দেখা গেলো কোনো একটা পন্যের মার্কেটিং এর জন্য কোনো একটা কোম্পানি আপনার ভিডিও তে তার ওই পন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য বললো। আপনি এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিতে সম্মতি প্রকাশ করলে কোম্পানী আপনাকে আপনার চাহিদামত টাকা পেমেন্ট করবে।
(অনলাইন থেকে টাকা আয়)

আরেকটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম হল ইন্সাটাগ্রাম। যদিও জনপ্রিয়তার বাংলাদেশে এর চাহিদা তত বেশি নয়, তারপরও দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইন্সাটাগ্রাম ফলোয়ার থাকাটা জরুরি ইন্সাটাগ্রাম থেকে আয় করার জন্য । আপনার ফলোয়ার যদি ১০,০০০ হাজার এর উপর হয় তাহলেই বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপণের জন্য আপনার সাথে চুক্তি করবে।
পপুলার ইন্সাটাগ্রাম প্রফাইল ওনাদের InfluencermarketingHub কম্পানিটি সাধারণত অনেক বেশি কাজ দিয়ে থাকে।
প্রতিবছর ৫ হতে ৬ হাজার ডলার ইনকাম করা সহজ ইন্সটাগ্রাম থেকে যদি মিনিমাম ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার থাকে।

বর্তমানে এই কন্টেন্ট বা আর্টিকেল রইটারের জনপ্রিয়তা ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অনেক বেশি । ভালো আর্টিকেল রাইটার পাওয়াটাই বর্তমানে মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে । বিশেষ করে আর্টিকেল রাইটার তেমন পাওয়ায় যায় না বাংলাদেশের ফ্রিল্যানসিং সেক্টরে । এই সেক্টরে দক্ষ লোকের অভাব খুবই বেশি ।
আপনি মোবাইল দিয়েই ঘরে বসে আর্টিকেল রাইটিং করহে পারেন যদি আপনি চেষ্টা করেন । আর এর ফলেই আয় করতে পারেন হাজার হাজার টাকা । প্রফেশনাল মানের কন্টেন্ট রাইটার যদি আপনি হতে পারেন তাহলে আপনার কাজ পাওয়া কোন চিন্তা করেতে হবে না , কাজই আপনার কাছে এসে ধরা দিবে ।
দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলছে কন্টেন্ট রাইটারের চাহিদা ।
আপনার পছন্দ মত যে কোনো বিষয় এর উপর লেখালেখি করতে পারেন। শুধু একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, সেটি হল যে বিষয়টি নিয়ে আপনি লেখালেখি করবেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার যেন ভালো ধরনা থাকে।
একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার প্রতি মাসে $1000 থেকে $2000 ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে।
ইংরেজিতে কন্টেন্ট রাইটিং এর চাহিদা ব্যাপক । বাংলায় কন্টেন্ট রাইটিং করে ভালো টাকা আয়ের কোন সুযোগ এখনো তৈরি হয়নি । তবে আগামীতে যে হবে না, তেমনটা কিন্তু নয়।
৬। সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট
প্রতি মাসের 300 ডলার হতে 500 ডলার আয় করা সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে । আর এটা নির্ভর করবে আপনি কত গুলো সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট করবেন তার উপর )
এজেন্সির মাধ্যমে মোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে অনলাইনে খুব সহজেই টাকা আয় করা সম্ভব। নিজের এজেন্সি তৈরি করে কাজ পাওয়াটা সমস্যেই প্রথম দিকে ।
অনেক পলিটিক্যাল ব্যাক্তি ও মিডিয়া রিলেটেড ব্যাক্তি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ম্যানেজমেন্ট করার সময় পায় না। আর তাই তৃতীয় ব্যাক্তির দরকার হয় সেই ব্যাক্তিদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট করার জন্য । একটি পোর্টফলিও ওয়েবসাইট থাকা দরকার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কাজ পাওয়ার জন্য ।
আপনি কি ধরণের কাজ ও সেবা দিতে পারবেন তার বিস্তারিত পোর্টফলিও ওয়েবসাইট এ উল্লেখ থাকবে। আর সেখান থেকেই আপনি কাজ পাবেন ।
প্রতি মাসে সম্ভব্য আয় 200 হতে 400 ডলার।
ভাষা ট্রান্সলেটর হিসেবে অনলাইন এবং অফলাইন দুই দিক থেকে টাকা ও ডলার আয় করা যায় । আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ভাষা জানতে হবে ভাষা ট্রান্সলেট করে আয় করার জন্য । আপনার যদি দুই/তিনটি ভাষা জানা থাকে তাহলেই আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করতে চাইলে আপনি দুই হতে তিনটি ভাষা শিখে নিতে পারেন ।
প্রতি মাসে $500 হতে $700 ডলার আয় করতে পারে একজন ভাষা ট্রান্সলেটার । তাছাড়া দিন দিন ভাষা ট্রান্সলেটার এর চাহিদা বেড়েই চলছে।

যেসব পণ্য মানুষের কাছে প্রথম মনে হবে এবং আকর্ষণ সৃষ্টি করবে সেকল পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্রিত সকল পণ্যের উপর সকলের এক ধরনের আগ্রহ দেখা যায় । কারণ যে সব পণ্য বিক্রয় করা হয়, তা সাধারনত আসে পাশে পাওয়া যায় না। এই জন্য অনলাইনে বিক্রয় ভালো হয়।
(অনলাইন থেকে টাকা আয়)
অবশ্যই আপনাকে ইউনিক পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে যদি আপনি অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করতে চান । কারন ইউনিক পণ্যের বিক্রয় ভালো হয় ফলস্বরূপ ইনভেস্ট করার পর ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা অত্যন্ত নগন্য ।
আপনার এলাকায় ভিন্ন ধররণর কোন পন্য থাকলে তা আপনি অনলাইনে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারেন। আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল এ্যাড দিয়ে আপনার পণ্যের প্রচার করতে হবে ।
বিভিন্ন group এ পণ্যের ছবির এ্যাড দিয়ে কিছু পণ্য বিক্রয় করা যাবে , তাবে তা অনেক বেশি হবে না। আর তাই ডিজিটাল এ্যাডের ব্যবস্থা করতে হবে ।

নিজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এখান থেকে আয় করতে হয় । আয় সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে।
মিনিমাম আয়ও কাজ পাওয়ার উপরই নির্ভর করবে।
একটি অনলাইন পোর্টফলিও তৈরি করতে পারেন কোন কাজের উপর আপনার ভালো অভিজ্ঞতা থাকলে তার উপর নির্ভর করে, এটি আপনাকে কাজ পেতে সহযোগিতা করবে।
ধরেন আপনি ভালো মানের একজন কুকার , এখন আমার অনুষ্টানের জন্য একজন কুকার দরকার।
আমি গুগল এ সার্চ করার পর আমি আপনার সাথে যোগাযোগ করে কন্ট্রাক করতে পারব যদি আপনার পোর্টফলিও ওয়েবসাইটটি পাই । আপনি আপনার একজন একজন কাস্টমার পাবেন।
অথবা আমার একজন ডিজিটাল মাকের্টার দারকার। আপনি একজন ডিজিটাল মাকের্টার আপনার একটি পোর্টফলিও থাকলে খুব সহজে আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাবে । আর কাজের জন্য আমি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবো ।

অনলাইন কোর্স বিক্রয়ের মাধ্যমেও প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার আয় করা সম্ভব ।
এক্ষেত্রে আপনাকেও ডলার ইনভেস্ট করতে হবে । সর্বনিম্ন 100 হতে 300 ডলার ( সোশ্যাল মিডিয়া এড প্রকাশের জন্য খরচ হবে) ইনভেস্ট করতে হবে ।
অনলাইন থেকে লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব একটি ভালো মানের কোর্স থেকে । অবশ্যই কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে অনলাইনে কোর্স বিক্রয় করতে চাইলে ।
আপনি জানেন কিভাবে লিখতে হয়। সুতরাং আপনার এই দক্ষতার উপর নির্ভর করে একটি ভালো মানের কোর্স তৈরি করতে পারেন।
কোর্স তৈরি করা শেষে তা সোশ্যাল মিডিয়ায়, ডিজিটাল এড এর মাধ্যমে সেল করতে পারেন।
চিন্তা করুন, সেই বিষয় টা অন্য কেউ জানে না যে বিষয়টা আপনি ভালো করে জানেন সুতরাং এটা কিন্তু আপনার সুবর্ণ সুযোগ অনলাইন থেকে টাকা আয় করার জন্য ।
(অনলাইন থেকে টাকা আয়)

পরামর্শ দাতা হয়েও অনলাইনে আয় করা সম্ভব। প্রতিমাসে সম্ভব্য আয় হয়ে উঠতে পারে 700 হতে 1000 ডলার।
যে বিষয় পরামর্শ দিবেন তার উপর একটি অনলাইন এজেন্সিনর সাথে আপনার সম্পর্ক থাকতে হবে । বর্তমানে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ,যদিও এর চাহিদা আগে ছিল না কিন্তু । ফলে এই খাতে অনলাইন থেকে আয় করার সম্ভবনা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে ।
আপনি অনলাইন থেকে ভালো আয় করেন , আপনি একজন ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার । এখন আপনি একটি এজেন্সি ওপেন করলেন, যার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে আয় বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন । আর তার বিনিময়ে আপনি কিছু টাকা নিয়ে থাকেন।
আর একটি উদাহরণ দেওয়া যাক, ধরুন ভালো ফিটনেস ট্রেইনার আপনি একজন, কি ভাবে নিজের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে হবে আপনি তা ভালো ভাবে জানেন । এখন আপনি এজেন্সির মাধ্যমে অন্যকে ফিটনেস বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং বিনিময়ে কিছু টাকা চার্জ নিতে‘ পারেন।
একটি অনলাইন এজেন্সি ওপেন করতে হবে উপরের প্রতিটি কাজের জন্য আপনাকে অবশ্যই ।

নিদিষ্ট কোন সময় নেই নিদিষ্ট কোন সময় নেই পডকাস্ট এর মাধ্যমে আয়ের ক্ষেত্রে ।
(অনলাইন থেকে টাকা আয়)
পডকাস্ট থেকে প্রতিমাসে মিনিমাম আয় 100 থেকে 80 ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
পডকাস্ট হচ্ছে অনলাইন থেকে আয় করার ভিন্ন একটি মাধ্যম । ইউটিউব থেকে আয় করার মত পডকাস্টের বিষয়টা ।
আপনি খুব সুন্দর করে যে কোন বিষয় উপস্থাপণ করতে পারেন এবং আপনি কথা বলতে ভালো বাসেন । তাহলে আয় করার জন্য পডকাস্ট আপনার জন্য একটি ভালো মাধ্যম ।
আর একটু ক্লিয়ার হওয়া যাক, ধরুন আপনি একটি সিরিজ তৈরি করলেন এবং সেই সিরিজ গুলো প্রকাশ করলেন একটি পডকাস্ট মিড়িয়ার মাধ্যমে ।
প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কি ভাবে টাকা আয় করতে পারবেন। পডকাস্ট মিড়িয়ায় যখন আপনি আপনার সিরিজ প্রকাশ করবেন তখন মানুষ তা দেখবে সেই সাথে ডাউনলোড করবে । ফলে আপনি টাকা পাবেন। বেশি মানুষ আপনার পডকাস্ট দেখলে আপনার বেশি আয় হবে ।
অবশ্যই আনন্দদায়ক ইউনিক কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।
Spotify (বাংলাদেশে সাপোর্ট করে না)
Google Podcast

ফ্রিলান্সিং মানে মুক্ত পেশা ।
নিজের ইচ্ছামাফিক প্রচলিত চাকুরীর বাইরে গিয়ে কাজ করার স্বাধীনতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যদিও ফ্রিলান্সিং বিষয়টি আমাদের দেশে এখনও নতুন, কিন্তু এরই মধ্যে নিজেদের ভাগ্যকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন অনেকে ফ্রিল্যান্সার । আপনার ভবিষ্যৎ প্রফেশনাল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারেন পড়ালেখার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং করে । বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল মার্কেট হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং । ইন্টারনেটের কল্যাণে ঘরে বসে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন এখন খুব সহজেই । আপনার কাজ জানা থাকলে খুব কম সময় এর মধ্যে আয় শুরু করতে পারবেন। কাজ জানা না থাকলে, আগেই কাজ শিখতে হবে তারপর ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে চেষ্ট করতে হবে। তবুও সময় লাগতে পারে 5 হতে 6 মাস পর্যন্ত ।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পরের দিন থেকেই যে আয় শুরু হবে তা অসম্ভব । কিন্তু যদি লেগে থাকা যায় তাহলে খুব দ্রুতই ফ্রিল্যান্সিং পেশার মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করা যাবে হাজার হাজার ডলার ।
(অনলাইন থেকে টাকা আয়)
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে জানে না খুব কম সংখ্যক ব্যাক্তি ।
ইন্টারনেট জগৎ এ বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে যা করার মধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন হাজার হাজার ডলার ।আর হাজার হাজার ডলার আয় করতে হলে আপনাকে প্রথমত হতে হবে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার ।
তখনোই সফলতা অর্জন করা সম্ভব যখন আপনি মন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইবেন । কারণ ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করতে চাইলে অনেক বেশি ধৈর্য ধরতে হবে।
ভাই আমি তো ফ্রিলান্সিং এ একদমই নতুন অনেকেই এই প্রশ্নটা করে । প্রথম অবস্থায় কোন কাজটি শিখে ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারবো ? অনেকেই বলে ভাই আমি ছাত্র, আমি পড়ালেখার পাশাপাশি অল্প হলেও অনলাইনে আয় করতে চাই কিন্ত আমার কাছে কোন টাকা নেই, কিভাবে কি করবো আমাকে একটু পরার্মশ দেন।
তাদেরকে বলবো , আপনি প্রথমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন । ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা আকাশচুম্বী বর্তমানে । একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর কাজের ক্ষেত্র বিভিন্ন কম্পানিগুলোতে যেরকমভাবে তৈরি হচ্ছে অনলাইন মার্কেটিপ্লেসগুলোতেও ঠিক সেভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে । ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি শেখার প্রয়োজনীয়তা নিজের বিজনেসের জন্যও অপরিহার্য । কারণ পন্য বিক্রয় কার্যক্রম খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ।
ডিজিটাল মার্কটিং কি ?
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারই হল ডিজিটাল মার্কেটিং । ইন্টারনেট এর সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলা ভাগ আছে । যেমনঃ
- SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- SEM বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- Email Marketing (ইমেইল মার্কেটিং)
- Article or কনটেন্ট রাইটিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটিং
- টুইটার মার্কেটিং
- সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ভাইরাল মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- গুগল ডিসপ্ল্যে নেটওয়ার্ক
- মোবাইল মার্কেটিং
কিভাবে শুরু করবেন এখন আসি এই কাজ। যে কাজে আপনি দক্ষ সে কাজটি একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করে দেয়াই হচ্ছে মুলত ফ্রিলান্সিং ।
আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশের এবং আপনি ঘরে বসেই আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন ও তা পরিবর্তন হতে থাকবে সময়ের সাথে সাথে ।
সবার প্রথমে আপনার এখানে দরকার একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা। হতে পারে Graphics Design, Photo Editing, Web Design, Website Making , Copywriting, Content Writing, Logo Design ইত্যাদি।
যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিলাঞ্চিং শুরু করতে পারবেন। আপনার টাকা ইনকামের সুযোগ বেশি যদি আপনি একাধিক কাজ পারেন সেক্ষেত্রে ।
কাজ শেখার পর বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে (যেমন- Freelancer, Upwork, Fiver, ইত্যাদি) সাইটে তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কোন কোন কাজে পারদর্শী সেগুলো ওই সাইটে উল্লেথ করে দিতে হবে তারপর।
অনলাইন ইনকাম সাইট বর্তমান সময়ে অনেক আছে। কিন্তু ভালো মানের সাইট খুবই কম।
তাই কোনো সাইটে কাজ শুরু করার পূর্বে অবশ্যই ভালো ভাবে সাইটটি যাচাই করে নিতে হবে । সব কিছু দেখে যদি ভালো বলে মনে হয় তাহলেই সেই সাইটে কাজ করা শুরু করতে পারেন ।
তারপর প্রমানের জন্য আপনার পূর্বেই সম্পাদিত কোনো কাজ থাকলে সেটা ওই ওয়েবসাইটে সাজিয়ে রাখতে হবে পোর্টফোলিও আকারে । এতে করে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজে নিয়োজিত করবে আপনার পোর্টফলিও দেখে পছন্দ করলে তবেই ।
তাই ভালো একটা পোর্টফলিও তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
কাজ পেতে একটি অসুবিধা হতে পারে প্রথম প্রথম । সেক্ষেত্রে পরিচিত কোন ফ্রিলান্সারের রেফারেন্স নিতে পারেন।
আপনার প্রথম ক্লায়েন্ট ভালো একটা রিভিউ দিলে দেখবেন কাজ আসতেই থাকবে আসতেই থাকবে ।
প্রথমে বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহন করেও ক্লায়েন্ট পেতে পারেন ।

কিছু মাইক্রো ওয়ার্ক করে অনলাইন থেকে আয় করা যায় । অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট রিভিউ সেই সকল মাইক্রো ওয়ার্ক কাজের অংশ ।
কেউ যদি নতুন ওয়েবসাইট খুলার পর বুঝতে না পারে যে তাঁর ওয়েবসাইটের গঠন ঠিক আছে নাকি নাই , তাহলে এর জন্য সে একটা এজেন্সির মাধ্যমে তাঁর ওয়েবসাইটির গঠন নিয়ে একটি survey করার পর এর যে মতামত পেল তা তাঁর ওয়েবসাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কত গুলো এজেন্সি নাম নিচে উল্লেখ করলাম, যেগুলো অ্যাপ ও ওয়েবসাইট রিভিও করার জন্য পে করবে। যদিও এগুলো থেকে অনেক বেশি আয় করা সম্ভব নয় তারপরও আপনি চাইলে শুরু করতে পারেন ।
UserTesting
Ubertesters
Userlytics
Testbirds
Userfeel
TryMyUI

ব্লগিং এর মাধ্যমে ৫ হতে ৬ মাস সময়ের মধ্যেই আয় শুরু হবে । কিন্তু এক্ষেত্রে মিনিমাম ১০০০ ডলার ইনভেস্ট করতে হবে ।
বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম কাস্টমার বা ক্লাইন্ট রেফার করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করা । যদিও মানুষ বাস্তব জগতে এটা বিশ্বাস করতে চায় না । তারপরও অনলাইনে অনেকেই এটা করে আয় করছে ।
বলতে গেলে এটাও এক ধরনের অ্যাফলেট মাকের্টিং । আমার মাকের্টিং এজেন্সি আছে। এবার আপনি আমার এজেন্সিতে কাস্টমার রেফার করলেন । আর এর জন্য আমি আপনাকে কিছু টাকা পেমেন্ট করব।
এটা সরাসরি রেফার করার মাধ্যমেও হতে পারে আবার ওয়েবসাইট তৈরি করে লিড জেনারেট করে রেফার করার মাধ্যমেও হতে পারে । যে ভাবেই করুন না কেন, উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই থাকতে হবে যে, কিছু টাকা আয় করা।
ধরুন আমি একজন লইয়ার। আইন বিষয় বিভিন্ন লেখা আছে এমন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে । আবার সেখানে বিভিন্ন আইনজীবিদের জন্য যোগাযোগ করার ব্যবস্থা আছে।
ধরুন আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কোন একজন ব্যাক্তি একজন আইনজীবির সাথে যোগাযোগ করল। এই যে ঐ আইনজীবি একজন ক্লাইন্ট পেলো আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে, এরজন্য আইনজীবি আপনাকে একটি নিদিষ্ট অর্থ পেমেন্ট করবে।

কাজ জানা থাকলে ১ হতে ২ সপ্তাহ মাত্র সময় লাগবে আয় শুরু হতে । প্রতি মাসে প্রায় 100 থেকে 300 ডলার অথবা এর থেকেও বেশি আয় করা সম্ভব ছবি বিক্রয়ের মাধ্যমে ।অনেকেই ভালো ছবি তুলতে পারেন । একজন ভালো ফটোগ্রাফার খুব সহজে প্রতি মাসে 500 হতে 1000 ডলার বা তারও বেশি আয় করতে পারবেন।
মোবাইল ফোন বা ক্যামেরা দিয়ে বিভিন্ন জিনিসের আকর্ষণীয় আকর্ষণীয় ছবি তুলতে হবে ।
তারপর একটু এডিট করে অথবা “র” ফাইলই আপলোড করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ,সেখান থেকে প্রতিটি ছবির জন্য ৫০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে ।
আপনি যদি অল্প সল্প ফটো এডিটিং জানেন, তাহলে এক্ষেত্রে অনেক সুবিধা লাভ করতে পারবেন। ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ানো যায় Photoshop, Illustrator ইত্যাদির মাধ্যমে ।
কিছু নিয়ম-নীতি আছে ছবি তুলে আয় করার জন্য । যে সব ওয়েবসাইট সুযোগ করে দেয় তাদের । সেগুলো আপনাকে পালন করতে হবে।
একটি বিশেষ সুবিধা হল একই ছবি আপনি বার বার বিক্রয় করতে পারবেন।
ছবি বিক্রয় করার মাধ্যমে আয়ের সুযোগ করে দিয়ে থাকে এমন কিছু ওয়েবসাইট এর লিস্ট দিচ্ছি
- 500px Prime
- SmugMug Pro
- Shutterstock
- iStockphoto
- Etsy

আয় শুরু করতে সময় লাগবে ১ হতে ২ মাস । প্রতি মাসে আয় করা যাবে 20 হতে 25 ডলার।
অনেকেই প্রতি মাসে অনলাইন থেকে ভালো টাকা আয় করে রিসার্চ বা সার্ভে এর কাজ করে ।
ইন্টারনেট রিসার্চ একটি ভালো কাজ হাত খরচের জন্য কিছু টাকা আয় করতে চাইলে ।
সার্চ করে আয় করার জন্য একটি এক্সটেনশন হল Qmee । Qmee এক্সটেনশনটি ব্রাউজারে এড করে সার্চ করে টাকা আয় করতে পারবেন । এজন্য ইউজ করতে হবে ভিপিএন । কারণ বাংলাদেশে বা ভারত থেকে আয় করা সম্ভব নয় । আর তাই ভিপিএন দিয়ে অন্য দেশ সিলেক্ট করে কাজ করতে হবে ।
সার্ভে করার কিছু ওয়েবসাইট এর লিস্ট
- SurveyBods
- Pinecone Research
- i-Say
- Pro Opinion

মাত ১ হতে ২ মাসে Appen থেকে টাকা আয় করা যাবে ।
প্রতিমাসে 80 হতে 100 ডলার আয় করা যাবে (আপনাকে অবশ্যই ইউএস এর বাসিন্দা হতে হবে।) আর এজন্য ভিপিএন ব্যবহার করতে হবে ।
Appen থেকে বিভিন্ন ভাবে আপনি আয় করা যায় ।
প্রথমত, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ক্যাটাগরি করার মাধ্যমে আয় করতে যাবে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ক্যাটাগরি করা মানে, পোস্টটি কোন ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করে ,পোস্ট পড়ে আপনাকে বলতে হবে এবং পোস্টটি কি বিষয় প্রকাশ করে তা বলতে হবে ।
দ্বিতীয়, একটি ছবি দেওয়া হবে এবং বলতে হবে যে, ছবিটি দাঁড়া কি বুঝানো হয়েছে অথবা ছবিটি কি প্রকাশ করছে ।
তৃতীয়, শুনে শুনে লিখতে হবে বিভিন্ন ধরনের অডিও ফাইল । Appen এর অডিও ফাইলগুলো সাধারণত খুব বেশি বড় হয় না।
চতুর্থ, এই ক্ষেত্রে একটি ইমেজ টুল দেওয়া হবে সেখান থেকে ইমেজ এর বিষয় বস্তু ঠিক করতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি জব করে ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করা যায় ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে । ভালো কাজ জানা থাকলে আয় শুরু করতে সময় লাগবে মাত্র ৩ হতে ৪ মাস। প্রতিমাসে মিনিমাম 150 হতে 300 ডলার আয় করা সম্ভব ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ।
প্রথম দিকে প্রতিটি ফ্রিল্যান্সার ডাটা এন্ট্রি কাজ করে থাকে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য । ডাটা এন্ট্রি কাজটা কিন্তু এতটাও সহজ নয়।
এই ধরনের কাজ পাওয়া যায় সাধারনত বড় প্রতিষ্টান গুলোতে ।
ডাটা এন্ট্রি কাজের কিছু লিষ্ট
- Word Processor Jobs
- Data Cleaning Jobs
- Online Form Filling Work
- Copy & Paste Work
- Image to Text Writing Jobs
- Audio to Text Writing Jobs
- Medical Transcriptionist Writing Jobs
- Medical Coding Jobs
- Database Update Work
- Catalog Data Entry Jobs

ক্লিক ওয়ার্কার ওয়েব সাইট থেকে প্রতি মাসে 30 থেকে 40 ডলার আয় করা যায় ।
আমরা অনেকেই ছোট ছোট কাজ জানি কোন ধরনের অভিজ্ঞতা ছাড়াই। যেমনঃ কোন প্রডাক্ট এর বিস্তারিত লেখা, অ্যাপ টেস্টিং , ভয়েস রেকোডিং, পাওয়ার পয়েন্ট কন্টেন্ট ডিজাইন, সার্ভে জব, Photo Capturing, , ইত্যাদি।
ক্লিক ওয়ার্কার একটি ওয়েবসাইট যেখানে উপরে উল্লেখ্য করা বিষয় গুলোর উপর কাজ পাওয়া যায়। খুব তাড়াতাড়ি কাজ পেতে সমস্যা হবে নতুন সদস্য হিসাবে । কিন্তু ট্রাই করতে করতে একটা সময় ভালো কাজ পাবেন আশা করা যায়।
ধৈর্য ধারন করাটা অত্যন্ত জরুরি ক্লিক ওয়ার্কার ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে হলে ।

আপনি চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন । এফিলিয়েট মার্কেটিং টা আমার কাছে খুব ভালো লাগে । এই কাজে এক্সটা একটা মজা পাওয়া যায় ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? – (অনলাইন থেকে টাকা আয়)
কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে আয় করা অর্থৎ অনলাইনে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে যে আয় করা হয় তাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
একটি উদাহরন দিয়ে বিষয়টি ক্লিয়ার করে ও আরও সুন্দর করে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
ধরুন আমার একটি পাঞ্জাবির বিসনেস আছে , এখন আমি আপনাকে যদি বলি আমার পাঞ্জাবি বিক্রি করে দেন ,আমি আপনাকে প্রতিটি পাঞ্জাবিতে ১০% কমিশন দেব। তাহলে সেই কমিশনটাই হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যত বেশি বিক্রি করতে পারবেন ততো বেশি ইনকাম করতে পারবেন । এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন যদি আপনার ইচ্ছা শক্তি থাকে ।
একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট নিজের হাতে পাবেন না বা সেল করতে পারবেন না । কোম্পানী আপনাকে দিবে প্রোডাক্টের একটি নির্দিষ্ট লিংক।
এই লিংক বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া বা অনলাইনে যেখানে মানুষ আছে যারা এই লিংক সম্পর্কিত জিনিস ক্রয় করতে পারে এরকম জায়গায় আপনি লিংকটি শেয়ার করবেন।আর আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে যদি কেউ পণ্য কিনে তাহলেই আপনি আপনার নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন । যত বেশী মানুষ আপনার লিংক থেকে পণ্য কিনবে আপনি তত বেশি কমিশন পাবেন । বুঝতে পেরেছেন আশা করি ।
কিছু জনপ্রিয় ও পরিচিত এফিলিয়েট প্লাটর্ফম
- Amazon Associates.
- eBay Partners.
- Shopify Affiliate Program.
- Click-bank.
- Awin
- ShareAsale
- CJ Affiliate
- Rakuten Affiliate Network
- AvanGate ( 2Checkout )
- LinkConnector
- RevenueWire

অপনি হয়তো আপনার আশে পাশের কারো না কারো কাছ থেকে বা কোন মাধ্যম থেকে শুনেছে যে Android Apps থেকে ইনকাম করা । (অনলাইন থেকে টাকা আয়)
ঠিকই শুনেছেন। গুগল প্লে স্টোরে এমন অনেক এপস আছে যেগুলা ডাউনলোড করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারা যায়। শুধু ডাউনলোড করলেই কাজ হবে না । ডাউনলোড করার পর অনেক রকম নিয়ম ফলো করতে হয় । যেমন , এপ্স ডাউনলোডিং করার পর এপ্স রেফার করা, ভিডিও দেখা ইত্যাদি । বিনিময়ে আপনি কিছু টাকা পাবেন ।
জনপ্রিয় এপস
- Meesho
- Google’s Opinion Rewards
- Picxele
- Make Money – Free Cash App
- Frapp
- Foap – sell your photos
- Perk app
- Cointiply
- Swagbucks
- True balance

ফেসবুকে ভিবিন্ন ওয়েব সাইটের শর্ট লিংক শেয়ার করে ইনকাম করা অত্যন্ত সহজ একটি বিষয় । লিংক শেয়ার করতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনার লিংকটি অনেক বড় । এখন আপনি ঐ লিংকটা শর্ট লিংক করার ওয়েব সাইটের মাধ্যমে শর্ট করে আপনি কোথাও প্রচার করলেন । এতে করে আপনি নির্দিষ্ট কিছু এমাউন্ট পাবেন যদি আপনার লিংকে ক্লিক করে কেউ উক্ত বিষয়টি ডাউনলোড করে তবে ।
জনপ্রিয় কিছু শর্ট লিংক সাইট হলঃ
- shorte.ST
- bitly.com
- Adf.LY
- Ouo.IO
- ShrinkMe.IO
- Shortzon.COM

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেও ঘরে বসে ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি আপনার করা ডিজাইন গুলা রেখে দিবেন অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে সেখান থেকে আপনার ডিজাইনগুলা বিক্রি হতে থাকবে । আর আপনি ঘরে বসে শুধু টাকা গুনবেন! আসলেই ব্যাপারটা অনেক মজার । (অনলাইন থেকে টাকা আয়)
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে প্রথেমত আপনার ভালো মানের একটা কম্পিউটার /ল্যাপটপ লাগবে সেই সাথে ধৈর্য্য ও কঠোর পরিশ্রম করা লাগবে ।
প্রাথমিক অবস্থায় এডোবি ফটোশপ এবং ইলিস্ট্রটর দিয়ে শুরু করতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ ।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে মূলত যেসব কাজ করা হয় সেগুলো হলঃ
১। ফটো ইডিটিং
২। ব্যানার ডিজাইন
৩। লগো ডিজাইন
৪। কভার ডিজাইন
৫। পোষ্টার ডিজাইন।
(অনলাইন থেকে টাকা আয়)
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে যেসব সাইট থেকে ইনকাম করা যাবেঃ
- আপওয়ার্ক – Upwork.com
- ফাইবার – Fiver.com
- টপটাল – Toptal.com
- ফ্রিলান্সার – Freelancer.com
- নাইন্টিনাইন ডিজাইন – 99designe.com
- পিপুল পারওয়ার – Peopleperhour.com
গুরু – Guru.com
গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পারেন এমন অনেক সাইট আছে ।
আপনি আপনার ডিজাইন রেখে বিক্রি করতে পারবেন যেসব সাইটেঃ
১। stocksnap.io
২। pexels.com
৩। landingstock.com

বর্তমান সময়ে ওয়েব ডিজাইনার ও ডেভেলাপারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক হারে । আর এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য করতে হবে কোর্স । কারণ কোর্স ছাড়া শুধু মুখের কথায় ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট শিখা সম্ভব নয় । আর একবার যদি কোর্সটা আয়ত্ব করতে পারেন তাহলে টাকা আয়ের পথ অত্যন্ত সুগম হয়ে দাঁড়াবে ।
যে হারে মানুষ সবাই এখন অনলাইনমুখি হয়েছে বলাবাহুল্য। সব কিছুই এখন অনলাইন বেইস হয়ে যাচ্ছে, আর এখন অনলাইন মানেই ওয়েব পেজ। আপনি অনলাইনে যা কিছু দেখেন সবই ওয়েব পেজ। কতগুলি ওয়েব পেজ একত্র হয়েই হয় একটা ওয়েবসাইট তৈরি হয় ।
ওয়েব ডিজাইনার/ডেভেলপারদের চাহিদা যত বেশী তাদের ডিমান্ডও ততো বেশী। (অনলাইন থেকে টাকা আয়)
আপনার হাতে যদি ২ বছর শেখার সময় থাকে তাহলেই আপনি ওয়েব ডিজাইন/ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন নয়তো এই সেক্টরে ভালো কিছু শিখতে পারবেন না।

একটি ই-কর্মাস সাইট বানিয়ে ঘরে বসেই অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় । (অনলাইন থেকে টাকা আয়)
ই-কর্মাস সাইট মানে হলো একটি অনলাইন দোকান। মুদি দোকানে যেমন বিভিন্ন আইটেম সাজানো গোছানো থাকে লোকজন দোকনে আসে ক্রয় বিক্রয় হয় । ঠিক তেমনি অনলাইনে এরকম দোকান কে বলে ই-কর্মাস সাইট ।
ই-কর্মাস সাইট থেকে যেভাবে আয় করা যায় ?
এটি শুরু করতে হলে প্রথমত একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন। যেখানে আপনি আপনার পন্যগুলি মুদি দোকানের মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবেন । ভিজিটর বা ক্রেতা আপনার ওয়েবসাইটে আসবে । পন্য দেখবে এবং অর্ডার করবে।
প্রথম অবস্থায় আপনি একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যেমে একটি ই-কার্মাস বিসনেস শুরু করতে পারেন। এবং সেটা আপনি মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন।
প্রোডাক্ট রিলেটেড একটি নাম দিয়ে ফেসবুক পেজ খুলবেন আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে বিসনেস করতে চান সেই । সেখানে আপনার প্রোডাক্টোর ছবি ও দাম সহ বিস্তারিত লিখে রাখতে হবে । আপনার পেজেটিতে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করবেন । পেজে ভিজিটর বাড়লে আপনার বিক্রিও বাড়বে । অনলাইনে যখন আপনি একটি ই-কর্মাস সাইট বানাবেন , তখন আপনার সাইট প্রচার করতে হবে ভিজিটরদের কাছে । আর যখন আপনার সাইটে ভিজিটর আসবে , আপনার পণ্য ক্রয় করবে তখন আপনার ইনকাম হবে।
আপনাকে কিছু ট্রিক্স অবলম্বন করতে হবে ই-কমার্স সাইট থেকে যদি সফলতা পেতে চান । অনলাইনে সচরাচর পাওয়া যায় না এমনসব পন্য গুলো নিয়ে কাজ করুন । ভাল মানের পন্য পৌঁছে দিন মানুষের কাছে , প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কেটের তুলনায় কিছুটা কম মূল্যে। এতে করে অনেক সহজ হয়ে উঠবে ই-কমার্স সাইট থেকে ইনকাম করাটা । আপনাকে শুধু ধর্য্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
অনলাইন থেকে টাকা আয় করুন উক্ত বিষয়গুলো ফলো করে খুব সহজেই ।
9 Comments