ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম -২০২১

পাসপোর্ট শব্দটি আমাদের সবার কাছে খুব সুপরিচিত শব্দ। এই শব্দের উৎপত্তি ফরাসি শব্দ থেকে। এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়। এমনকি আপনি যদি বিমানপথ, রেলপথ, বা নৌপথ যা দিয়েই ভ্রমণ করতে চান না কেন পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অন্য দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই পাসপোর্ট দিয়ে অন্য দেশে প্রবেশ করা আমাদের দায়িত্ব। ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও এর তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হল ।
আরও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন করার উপায় / নিয়ম / প্রক্রিয়া ২০২১
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম – ২০২১
যা যা থাকছে এই লিখায়
পাসপোর্টের প্রকারভেদঃ
১.হাতে লেখা পাসপোর্টঃ এটি পুরোনো যুগের প্রক্রিয়া । এতে হাতে লেখা থাকতো তাই এতে মেশিনের দরকার হতো না কিন্তু ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে আর এটি ইস্যু করে নি বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এর বদলে নতুন যে প্রযুক্তির পাসপোর্ট ব্যাবহার করা হয় তা হলো মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ।

২. মেশিন রিডেবল পাসপোর্টঃ এই পাসপোর্টে তথ্যাবলি এমনভাবে যুক্ত করা থাকে যা শুধু মাত্র মেশিনেই শনাক্ত করতে পারে। একে এমআরপি পাসপোর্ট ও বলা হয়।২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার এই পাসপোর্ট দেওয়া শুরু করেছে যাতে পরিচিতি পাতায় কিছু উল্লেখ থাকে না ভিতরে কোডেড এ তার তথ্য যুক্ত করা থাকবে। এর মাধ্যমে ভুয়া পাসপোর্ট এর সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

৩.ই-পাসপোর্টঃ ই- পাসপোর্ট হলো মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর আধুনিক রুপ। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি এটি সর্বপ্রথম চালু হয়। একে আবার বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট ও বলা হয়। এর ভিতরে একটি চিপ লাগানো থাকে। চিপটি দেখতে অনেকটা সিম কার্ডের মতো। এতে ব্যাবহার করা হয়েছে মাইক্রো প্রসেসর ও এন্টেনা প্রযুক্তি । পাসপোর্ট ধারীকে শনাক্ত করার জন্য এই চিপের ভিতরে তথ্যাবলি দেওয়া থাকবে। বর্তমানে ই- পাসপোর্টে পাসপোর্টধারীর ১০ আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের আইরিশ,ও তার ছবি থাকবে বায়োমেট্রিক সংরক্ষণে। চিপে সংরক্ষণ করা ডাটা যাচাই করার জন্য থাকবে পাব্লিক কিউ ইনফ্রাস্ট্রাকচার। দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম এটি ইস্যু করেছে।

ই-পাসপোর্টের সুবিধাঃ
এতে অনেক সুবিধা আছে কারন এটি নতুন প্রযুক্তি । এর প্রধান সুবিধা হলো এর মাধ্যমে খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি ইমিগ্রেশন পার করা যায়। এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে হলে ইমিগ্রেশন এ অনেক সময় নষ্ট করতে হয়। যতক্ষন না ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয় ততক্ষন সেখানে থাকতে হয়। সেখানে বিশেষ এক ধরনের গেট আছে যেখানে পাসপোর্ট রাখলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য যাচাই হয়ে যাবে। পরে হাতের আঙ্গুলের বায়োমেট্রিকের স্ক্যান করলেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে।
অনেক সময় একজনের পাসপোর্ট আরেকজন ব্যাবহার করলে সমস্যার সৃষ্টি হয় এই ই- পাসপোর্ট এর মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান হবে। এতে ৩৮ ধাপের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা থাকায় জদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে সেখানে লাল বাতি জ্বলে উঠবে ও সমস্যার সমাধান করা হবে। এটি ICAO দ্বারা প্রচলিত হওয়ায় দেশের নৌ, বিমান ও স্থল বন্দর হতে তথ্য মিলিয়ে দেখা যাবে ও পুলিশ যেকোনো ব্যাবস্থা নিতে পারবে।
ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
- ই-পাসপোর্টের আবেদনের প্রিন্ট কপি
- ২ কপি ছবি পাসপোর্ট সাইজের
- NID কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন
- নাগরিক সনদ ও শিক্ষাগত সনদ।
আবেদনের ফরম



ই-পাসপোর্টের ফরম পূরণ সংক্রান্ত নির্দেশাবলী ফরন পূরনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হয় । যেমনঃ
১) ফরম অনলাইনে বা পিডিএফ ডাউনলোডের মাধ্যমে পূরণ করা যাবে।
২)প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ছবি সত্যায়িত করতে হবে না।
৩)আবেদনের সময় দেওয়া নাম জন্ম তারিখ সবকিছু NID কার্ড বা জন্ম সনদ অনুযায়ী দিতে হবে।
৪)আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয় তবে তার পিতা বা মাতার NID কার্ড যুক্ত করতে হবে।
৫)আবেদনকারীর বয়স ৬৫ বছরের উপরে বা ১৮ বছরের নিচে হলে তার পাসপোর্ট এর মেয়াদ হবে ৫ বছর।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট এর আবেদন প্রক্রিয়া
আবেদন করতে হবে অনলাইনে। ই- পাসপোর্ট এর সরকারি ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই এর আবেদন করা যাবে। আবেদনের ধাপ ৫ টি। এর জন্য আপনি ই-পাসপোর্ট আবেদনের সরকারি ওয়েবসাইটে যাবেন।
১.আপনি বর্তমানে যে জেলায় বাস করেন সেখানে কি ই- পাসপোর্টের কাজ শুরু হয়েছে কিনা তা যাচাই।
২.অনলাইনে ফরম পুরন করা।
৩.পাসপোর্টের জন্য ফি পরিশোধ করা।
৪.ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে অফিসে যাওয়া।
৫.সর্বশেষ পাসপোর্ট সংগ্রহ করা।
ওয়েবসাইটে ঢুকার পর অনলাইনে আবেদন ট্যাবটিতে ক্লিক করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। পরে আপনি যে এলাকায় বসবাসরত আছেন আর পাশের অফিস টি খুঁজে নিতে হবে। পরে আবেদনের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় ইমেল আড্রেস, নাম ও পাসওয়ার্ড দিতে হবে ও তথ্যবলি যুক্ত করতে হবে।
অতি জরুরি পাসপোর্ট এর আবেদন প্রক্রিয়া এমন অনেক সময় হয় যখন পাসপোর্ট খুব জরুরি ভিত্তিতে দরকার হয় সেক্ষেত্রে আপনি দুই দিনের মধ্যে পেতে Super express এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু তথ্য জানতে হবে ।
১)অতি জরুরি ভিত্তিতে দেশের যেকোনো জায়গা থেকে আবেদন করা গেলেও বিদেশে মিশন থেকে আবেদন করা যাবে না।
২)পাসপোর্ট অবশ্যই আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকেই সংগ্রহ করতে হবে।
৩)আবেদনের পূর্বে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
৪) জরুরি পাসপোর্ট শুধু এমআর পাসপোর্ট ধারীরাই পাবে নতুন করে করা ই-পাসপোর্ট ধারীরা পাবেনা।
ই- পাসপোর্ট এর ফি পরিশোধ পাসপোর্ট এর জন্য নির্ধারিত ফি আছে যা পূরন করতে হয়। ফি সবসময় এক হয় না। পাসপোর্ট এর ধরন অনুযায়ী ফি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত হয়। অনলাইনের মাধ্যমে বা সশরীরে ফি দেওয়া যাবে। ব্যাংকের ক্ষেত্রে ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও ঢাকা ব্যাংকে ফি পরিশোধ করা যাবে । পরে স্লিপ সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখতে হবে ও পাসপোর্ট তুলার সময় তা অফিসে জমা দিতে হবে। অনলাইনে ফি দিলে আবেদনের সারাংশতে তা জমা হবে আর জমা না হলে অনলাইনে পেমেন্ট স্লিপ তুলে রাখতে হবে
পাসপোর্ট এর ফি সমূহ

ই-পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন
আপনার যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদ না থাকে তাহলে আপনি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন না। বায়োমেট্রিক্স আবেদনের আগেই তা জমা দিয়ে পাসপোর্ট নিতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন এর কিছু নিয়ম আছে ।
১৷ আবেদনকারীর আবেদনের সময় যে মেট্রিপলিটন এরিয়া বা এলাকা দেওয়া আছে সেই এলাকায় আবেদন করতে হবে পুলিশ ভেরিফিকেশন এর জন্য।
২।বিদেশে বসবাসরত কেউ যদি আবেদন করেন পুলিশ ভেরিফিকেশন এর জন্য তাহলে আবেদনপত্র সেই দেশের হাই কমিশনার দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
৩।দেশ থেকে বিদেশে যাওয়া বাংলাদেশি ওবাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিদেশি উভয়েই পুলিশ ভেরিফিকেশন আবেদন করতে পারবেন।
৪। যেকোনো সমস্যা হলে সমাধানে স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
পাশের পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক আবেদনে উপস্থিত
ফি পরিশোধ ও পুলিশ ভেরিফিকেশন এর পরের কাজ হলো পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক আবেদনের কাজ। নিজের এ্যাকাউন্টে দেওয়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেক করে নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। এসময় কিছু কাগজ সাথে রাখতে হবে
* অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ আবেদনপত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি
*জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদের প্রিন্ট কপি
*পেমেন্ট স্লিপ
*যদি আগের পাসপোর্ট বা ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি থাকে সেটি
*তথ্য সংশোধনের জন্য কাগজ ও আবেদনের প্রিন্ট কপি।
এসকল কাগজ ঠিকমত নিতে হবে পরে অফিসে ১০ আঙ্গুলের ফিঙ্গার প্রিন্ট, ছবি ও আইরিশের ছবি তুলা হবে। পরে পাসপোর্ট চেক করা হলে আপনার পাসপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে। পরে ওয়েবসাইট এর সাহায্যে বা মোবাইলে মেসেজ এর সাহায্যে পাসপোর্ট তৈরির খবর জানতে পারবেন।
পাসপোর্ট সংগ্রহ
অবশেষে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে আবার পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে ও সাথে ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে যেতে হবে। নিজে নিজের পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন যদি না যেতে পারেন তবে অবশ্যই সত্যায়িত প্রতিনিধি পাঠান৷ এবং অবশ্যই দেখে নিন পাসপোর্ট ঠিক আছে কি না।
পাসপোর্ট এর আবেদন প্রক্রিয়ার সমস্যার সমাধান
নাম বা অন্যান্য তথ্য ভুল হলেঃ আবেদনের সময় সাবধানে কাজ করা উচিত আর যদি ভুল হয় সেক্ষেত্রে অনলাইন আবেদনের সারাংশ নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যান। সেখানে সমস্যার সমাধান করা যাবে। তবে নাম সংক্রান্ত সমস্যা হলে অবশ্যই ছাড়পত্র লাগবে।
অ্যাপয়েন্টমেন্টে উপস্থিত না থাকলে করণীয়ঃ অনলাইনে পাসপোর্ট এর আবেদন করার পর অফিসে যেতে হয় তবে না যেতে পারলে নিজের একাউন্টে লগ ইন করতে হবে সেখানে Re-schedule / cancle বাটনে ক্লিক করে নতুন এ্যালাইনমেন্ট পেতে পারেন। তবে একবার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেলে তা না হারানো।
আবেদন করার পরেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পেলেঃ এর সঠিক কোনো উপায় নেই কিন্তু তার জন্য আগে থেকেই বারবার এ্যাকাউন্ট চেক করতে পারেন র অপেক্ষা করতে পারেন অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত।
কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে করণীয়ঃ অনেক সময় আগের তথ্য পরিবর্তন করতে হয় তখন আপনাকে অফিসে যেতে হবে পরে সেখানে আপনি যা পরিবর্তন করতে চান তার বর্তমান অবস্থার তথ্য দিতে হবে।
আবেদনে ব্যাবহার করা ইমেল বা মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করতে চাইলেঃ এক্ষেত্রে আপনি মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবেন। এ্যাকাউন্টে লগ ইন করে একাউন্ট ডাটা সিলেক্ট করে আগের নাম্বার ডিএক্টিভেট করে নতুন নাম্বার দিতে হবে। কিন্তু ইমেল পরিবর্তন করা যাবে না।
শেষ কথা ই-পাসপোর্ট মানুষকে তাদের কাজ অনেক সহজ করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করা যায় ঝামেলাহীনভাবে । তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এটি নতুন প্রযুক্তি।
ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রচলিত প্রশ্নাবলী ও তার উত্তরঃ
(১)ইমেইল এড্রেস ছাড়া অনলাইনে আবেদন করা যাবে?
উত্তরঃ না, অনলাইনে আবেদন করতে চাইলে ইমেইল এড্রেস ছাড়া হবে না এটি লাগবেই। এক্ষেত্রে Google/ Gmail ব্যাবহার করুন।
(২)অনলাইন আবেদনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করনীয় কি?
উত্তরঃসেক্ষেত্রে ইমেইল একাউন্ট আপনাকে সাহায্য করবে। প্রথমে একাউন্ট লগ ইন এর স্থানে গিয়ে Forgot Password এ গিয়ে আবেদনের একাউন্টের সাথে সাংযুক্ত করা ইমেইল একাউন্ট লগ লগ ইজ করলে নতুন ইমেইল আসবে ও পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন।
(৩)একাউন্ট খুলার সময় ইমেইল এড্রেস প্রবেশ করানোর পরেও একাউন্ট কনফারমেশন মেসেজ না পেলে কি করণীয়?
উত্তরঃ ইমেইলটির বানান ও সঠিকভাবে দেওয়া নিয়ে নিশ্চিত হয়ে একাউন্টে লগ ইন করে শপাম ফোল্ডারে গেলেই হবে।
(৪)অনলাইন থেকে পিডিএফ নামানোর পর হাতে লিখে কি আবেদন করা যাবে?
উত্তরঃ না, পিডিএফ নামানোর পরে পিডিএফ ফরম্যাটে তথ্যগুলো বসাতে হবে। এতে হাতে লেখার স্থান নেই সব অনলাইনে করতে হবে।
(৫)পিডিএফ নামিয়ে প্রিন্ট করে আবেদন করলে কি অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনলাইনে পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ না, শুধুমাত্র অনলাইন আবেদনকারীর জন্য আর বাকিরা পাসপোর্ট অফিস থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাবে।
(৬)এসএসসি/ এইচএসসি এর সার্টিফিকেটের নাম এবং জন্ম সনদে নাম ভিন্ন হলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী সব তথ্য দিতে হবে।
(৭)জন্ম সনদে নিজের বাবা বা মায়ের নাম ভুল হলে ঠিক না করে কি আবেদন করা উচিত?
উত্তরঃ না, অবশ্যই তা সংশোধন করে পরে আবেদন করতে হবে।
(৮)জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কি আবেদন করা যাবে?
উত্তরঃ ২০ বছরের নিচে হলে করা যাবে এর বেশি হলে করা যাবে না।
(৯)নিয়মিত পাসপোর্ট এর আবেদনকে কি জরুরি পাসপোর্টে রুপান্তর করা যাবে।
উত্তরঃ হ্যাঁ করা যাবে। সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট চূড়ান্ত হওয়ার আগেই বাড়তি ফি পরিশোধ করে অফিস বা ব্যাংক থেকে স্লিপ তুলতে হবে।
(১০)পাসপোর্ট এর তথ্য কি সত্যায়িত করতে হবে?
উত্তিরঃ রনা এখানে সত্যায়িত করতে হয় না মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এ করতে হয়।
(১১)ছাত্র আইডি কার্ড বা ইউটিলিটি বিল কি দেখাতে হবে?
উত্তরঃ পাসপোর্ট আবেদনে না লাগলেও মাঝে মাঝে পুলিশ ভেরিফিকেশন এ লাগে তাই সাথে রাখা ভাল।
(১২)পুলিশ ভেরিফিকেশন এ কি পুলিশ বাড়িতে আসে না নিজেকে যেতে হয়?
উত্তরঃ যেকোনোটিই হতে পারে তাই দুইটার জন্য প্রস্তুত থাকা ভালো।
(১৩) ই-পাসপোর্টের জন্য কি আগের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর প্রিন্ট ফরম ব্যাবহার করা যাবে?
উত্তরঃ না, আলাদা করে ফরম ডাউনলোড করতে হবে ই- পাসপোর্টের জন্য।
(১৪)মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট থাকলে কি স্বাভাবিকভাবেই আবেদন করতে হবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ আগের পাসপোর্ট এর কোনো কিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হবে না নিজের করতে হবে।
(১৫)অনলাইনে ফরম পূরণ করে ভুল হলে কি অনলাইনেই করা সম্ভব অফিসে না গিয়ে?
উত্তরঃ না কাগজে ভুল থাকলে য়া অফিসে গিয়েই ঠিক করতে হবে।
(১৬)পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার পর বাতিল করতে চাইলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ একাউন্টটি মুছে দিতে পারেন। ফি পরিশোধ না হলে এমনিতেই ৩ মাস পরে মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
(১৭)একাউন্ট মুছে ফেলার পরেও কি অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকলে পাবেন না থাকলে পাবেন না।
(১৮)পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দালালের হাতে পড়লে কি করণীয়?
উত্তরঃ অনেক স্থানেই এই সমস্যা দেখা যায়। যদি আপনার পাসপোর্ট এ কোনো ভুল না থাকে দালালরা আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারবে না।
(১৯)পুলিশ ভেরিফিকেশন এ সমস্যা হলে কি করণীয়?
উত্তরঃযদি সমস্যা হয়েই যায় এক্ষেত্রে স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশের সাথে কথা বলতে হবে।
(২০)ছবির সাইজ ও ব্যাকগ্রাউন্ড কেমন হবে?
উত্তরঃ প্রাপ্ত বয়স্কদের ছবি লাগে না। ৬ বছরেত শিশুর ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হবে ধূসর ও ১৫ বছরের কম হলে পিতামাতা সহ ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি জমা করতে হবে।ছবির আকার পাসপোর্ট সাইজ।
One Comment