টুইটার ( Twitter ) সম্পর্কে যত জানা-অজানা

বর্তমানে মাইক্রোব্লগিং সাইট হিসেবে খুব জনপ্রিয় একটি নাম হলো টুইটার। আর সম্প্রতি টুইটারের আলোচনা আরো বেড়ে গেছে ইলন মাস্কের জন্য। তিনি এখন টুইটারের মালিক। চলুন আজ টুইটার সম্পর্কে কিছু মজার বিষয় জেনে নেওয়া যাক।
টুইটার কি?
•টুইটারের নামকরণ করার জন্য একদন শুরুতে FriendStalker”, “Vibrate” ও “Twitch” নামগুলো বাছাই করার চিন্তা করা হয়েছিল টুইটার নামটি নির্বাচন করার আগে। পরে সহ প্রতিষ্ঠাতা নোয়াহ গ্লাস টুইটার নামটি খুঁজে বের করেন। যা দ্বারা বোঝানো হয় পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ।
• টুইটারে প্রতি মিনিটে টুইট পোস্ট করা হয়।৩৫০,০০০ টি। অর্থাৎ টুইট ব্যাবহারকারীগণ প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়নের বেশি পোস্ট করে থাকেন। আর যেখানে প্রতি মতো নিটে ফেসবুকে পোস্ট করা হয় ৩ মিলিয়ন।
• নির্দিষ্ট বিষয়ের মেসেজ যদি এক সঠানে করতে হয় তবে হ্যাশট্যাগ নামের ফিচারটি ব্যাবহার করা হয়। এই হ্যাশট্যাগ ফিচারটি আমরা পেয়েছি ক্রিস মেসিনা নামের একজন ভদ্রলোকের কারণে। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন যেকোনাও ওয়ার্ড এর আগে হ্যাশ(#) এর মতো একটা সিম্বল যোগ করে “ইন্সট্যান্ট চ্যানেল” ক্রিয়েট করা যাবে। কিন্তু এই আইডিয়া টুইটারের কো ফাউন্ডার প্রত্যাখ্যান করে দেন। পরে ২০০৭ সালে ডিয়েগো অয়াইল্ডফায়ার এর সময় থেকে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। পরে তা টুইটারে সংযোজন করা হয়। বর্তমানে এই ফিচারটি শুধু টুইটার নয় ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম এমনকি বিজ্ঞাপনের উপাদান হিসেবেও ব্যাবহার করা হচ্ছে।
• আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হলেন টুইটারে সবচেয়ে বেশি ফলো করা ব্যাক্তি। তার টুইটারের বর্তমান ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১৩১ মিলিয়ন। এর পরের ধাপে আছেন কানাডিয়ান গায়ক জাস্টিন বিবার। এইভাবে যিদি ধাপে ধাপে সাজানো যায় তবে সবচেতে বেশি ফলো করা ৫ জন হবেন – বারাক ওবামা, জাস্টিন বিবার, কেটি পেরি, রিহাবা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
• ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সুইডেনের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট যেকোনো একজন নাগরিকের একদিনের জন্য নিয়ন্ত্রণ স্বাধীনতা প্রদান করতো সুইডেন। পরে এটি নিয়ে অনলাইন হ্যারাসমেন্ট শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
• টুইটার অনেক জনপ্রিয় সর্বদাই। কিন্তু ২০০৭ সালে টুইটারে এসে ভীর করতে থাকে সবাই। তখিন টুইটার ব্যাবহারকারীর সংখ্যা অনেকগুণ বেড়ে যায়। আর এভাবে সার্ভারে অভারলোড হয়ে যাওয়ার কারণে একটি ইলাস্ট্রেশন দেখা যায়।
• টুইটার ইংরেজিতে লিখতে গিয়ে লিখা হয় Twitter. প্রথমে এর অফিসিয়াল নাম হিসেবে Twttr নামে সিলেক্ট কিরা হয়। তখন Vowel বাদ দেওয়ার একটা ট্রেন্ড ছিল।
• প্রথমদিকে মেসেজ করার জন্য সর্বোচ্চ ১৬০ ক্যারেক্টর ব্যাবহার করা যেত। এটি ছিল লিমিটেড।কারণ তখন ১৪০ এর বেশি ক্যারেক্টর ব্যাবহার করা যেত না। পরে তা ২৮০ ক্যারেক্টর করা হয়।
• একটা পরিসংখ্যান করে শিকাগো ইউনিভার্সিটির বুথ বিজনেস স্কুল জানায় অন্যান্য নেশা অর্থাৎ সিগারেট ও এলকোহলের চেয়ে টুইটার বেশি আসক্তিজনক।
• প্রথম টুইটটি যিনি করেছিলেন তিনি হলেন এর কো ফাউন্ডার জ্যাক ডর্সি। তিনি সর্বপ্রথম ২০০৬ সালের ২১ মার্চ টুইট করেছিওএন। পরে এই টুইট টি আবার বিক্রি হয়েছে ২.৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে।
• টুইটারের লগোতে একটা পাখির ছবি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। পাখিটির রং নীল। এর নাম ল্যারি। ২০১২ সালে পাখিটির পরিচয় নিশ্চিত করা হয় ল্যারি নামে।
• ভ্যাটিকান ও ক্যাথলিক চার্চের অনুসারীদের বিশ্বাস তাদের মৃত্যুর পর পরকালে পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে ও শোধনাগারে কাটাতে হবে। আর এই প্রায়শ্চিত্ত কমানোর উপায় হলো অন্যকে সাহায্য করা, প্রার্থনা করা, গরিবদের দান করার মতো কাজ কিরে। কিন্তু ২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ডে এএ সময় ভ্যাটিকান জানায় টুইটারে যারা পোপকে ফলো করবে তাদের মৃত্যুর পরে শোধনাগারে কাটানো সময়ের পরিমান কমানো হবে। এর ফলে তারা খুব দ্রুত ও সহজে হেভেনে চলে যাবে।
• কিছু কিছু দেশে টুইটার অফিসিয়ালি ব্যান করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে চীন, নাইজেরিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া, তুর্কমেনিস্তানের মতাও বেশকিছু দেশ।