
বাংলাদেশে প্রায় সারা বছরেই খেজুরের চাহিদা থাকে তবে রোজায় একটু বেশি। বিশেষ করে সৌদি আরবের খেজুরের চাহিদা বেশি রয়েছে। প্রতিবছর দেশে ৩০ হাজার টন খেজুর আমদানি করতে হয়।
সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ থেকে আমদানি করা হয় এই খেজুর। লহেজুর আমাদের শরীরের জন্য অতি উপকারী একটা ফল।
এক কেজি খেজুর দেহে ৩৭৭০ ক্যালরি শক্তির যোগান দেয়। আমাদের দেশে এবার সৌদি আরবের খেজুর চাষের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। দেশের বেশকিছু উৎসাহী কৃষকের সহায়তায় এই কাজ সম্ভব হয়েছে।
ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল, ঢাকা, কুষ্টিয়া, যশোরে চাষ হচ্ছে সৌদি আরবের খেজুর। কৃষকেরা জানান, চারা রোপন করার চার বছর পরে খেজুর পাওয়া যায়।
যেসকল চারা কলমের মাধ্যমে লাগানো হয় সেগুলো বীজ থেকে হওয়া চারার তুলনায় তাড়াতাড়ি ফলে। বাংলাদেশের জলবায়ু ও মাটি সৌদি আরবের খেজুর চাষে উপযোগী।
পানি জমে না এমন মাটিতে খেজুর গাছ ভালো হয়। তারা বলেন খেজুর চাষের পদ্ধতি জানলে এটি কঠিন কোনো ব্যাপার না। সৌদি খেজুর চাষের আগে স্ত্রী পুরুষ দেখে পরে গাছ লাগাতে হবে।
খোলামেলা স্থান ও যেখানে সূর্যের আলো পায় সেখানে গাছ রোপন করতে হবে। দেশে সৌদি আরবের ১৬ জাতের খেজুর ফলানো হচ্ছে। আর এই খেজুর বাজারে বিক্রি হয় ২০০০-২৫০০ টাকায়।