এবার পরীমনি বললেন তিনি অবিবাহিত

মাদক মামলায় গ্রেফতারের পর কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আটক আছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। তিন দফা রিমান্ড শেষে তাকে নেওয়া হয় কারাগারের কোয়ারেন্টিন সেন্টার ‘রজনীগন্ধা ভবনে’। ( পরীমনি বললেন তিনি অবিবাহিত ) সেখানেই রাখা হয়েছে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে।
জানা গেছে, সাধারণ বন্দিদের যে খাবার দেওয়া হয়, পরীমনিও সেই খাবারই পাচ্ছে ৷ কারা সূত্র থেকে জানা যায়, প্রত্যেক আসামিকেই রেজিস্টারে তার নাম-পরিচয়সহ সব কিছু লিখতে হয় কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর । এই নায়িকার ক্ষেত্রেও কোন প্রকার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
১৪ই আগস্ট সকালে পরীমনিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হলে রেজিস্টার খাতায় নাম উঠানোর পূর্বে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন একজন মহিলা ডাক্তার। এসময় ডাক্তার, নায়িকার স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সকল শনাক্তকারী চিহ্ন লিপিবদ্ধ করেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে কারা রেজিস্টারে পরীমনির নাম-ঠিকানাসহ সকল তথ্য লিপিবদ্ধ করেন কারা কর্তৃপক্ষ ।
ওই সময় এক কারা কর্মকর্তা পরীমনিকে জিজ্ঞেস করেন, কেমন আছেন আপনি? পরীমনি তাঁর জবাবে বলেন, ঘুমাতে পারিনি সারা রাত ধরে । প্রচন্ড মশা এখানে। তাছাড়া একসাথে এতজনের সঙ্গে থাকতে গিয়েও খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেক অশান্তিতে আছি। তখন তাঁর প্রশ্নের প্রেক্ষিতে কারাকর্মকর্তা বলেন, ‘কারাগারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারাবিধি অনুযায়ী কারাগার চলে। বন্দি হিসেবে আপনি সাধারণ বন্দিদের মতোই সুযোগ-সুবিধা পাবেন, এর বেশি না।
রেজিস্ট্রার করার সময় কারা কর্মকর্তারা তাঁর নাম ও মা-বাবার নামের পর জিজ্ঞেস করেন প্রথমে। তারপর কারাকর্মকর্তা জানতে চান, তিনি বিবাহিত নাকি অবিবাহিত ? পরীমনি বলেন, ‘আমি অবিবাহিত ।’ আর তখন এ তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। ( পরীমনি বললেন তিনি অবিবাহিত )
এক্ষেত্রে তিনি যদি নিজেকে বিবাহিত বলে পরিচয় দিতেন তাহলে এরপর প্রশ্ন আসত— স্বামীর নাম কী। তারপর আসত ছেলে-মেয়ে আছে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি ।
পরীমনিকে মাদক মামলায় দুই দফা ৬ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (১৩ আগস্ট) আদালতে হাজির করা হয়। তখন পরীমনির আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। আর সেই সাথে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ( পরীমনি বললেন তিনি অবিবাহিত)