স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন ।

বর্তমান সময়ে সবাই চায় নিজেকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগুক। তাই তারা প্রাকৃতিক আর কৃত্রিম উভয় উপায় ব্যাবহার করে ফর্সা হতে চায়। সবাই শুধু জানতে চায় স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়, ফর্সা হওয়ার জন্য কি কি উপায় আছে। তবে কৃত্রিম উপায়ের চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়াভাবে কিছু বানিয়ে তা ত্বকে ব্যাবহার করলে অধিক উপকারী। কারণ বাজারে যেসব পণ্য পাওয়া যায় সেসব পণ্যে অনেক ক্যামিকেল ব্যাবহার করার কারণে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই কৃত্রিম উপায়ের চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে কিছু ব্যাবহার ত্বকের জন্য ভালো। আজ আমরা ফর্সা হওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে জানবো।
প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
১. লেমন তেল বাদাম তেল মধু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ প্রথমেই ১ টেবিল চামচ গুড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু ১ টেবিল মধু, আধা টেবিল চামচ বাদামের তেল ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। পরে এই প্যাকটি ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর পরিষ্কার করে নিন। এই প্যাকটি মুখে ব্যাবহার করার ফলে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে ও রোদে পোড়া ভাব দূর হবে।
২. বেসনের মাস্ক ব্যাবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ মাস্ক ব্যাবহার করাতে ত্বকের অনেক উপকার হয়। এজন্য প্রথমেই ২ চা চামচ লেবুর রস দুধে মিশিয়ে একটা মতো মিশ্রণ বানাতে হবে। পরে এই মিশ্রণ গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে মাত্র দুবার লাগালেই দেখবেন আপনার গায়ের রং আগের চেয়ে অনেক ফর্সা হয়ে যাবে। তাই এটি হলো খুব সহজে ফর্সা হওয়ার উপায়।
৩. কমলার খোসার প্যাক দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে খুব কার্যকরী উপায় হলো কমলার খোসার প্যাক। আমরা কমলা খেয়ে যে খোসা ফেলে দেই তাই দিয়ে চাইলেই প্যাক বানানো যাবে। এই খোসা প্রথমে রোদে শুকিয়ে বিতে হবে। পরে তা খুব মিহি কিরে গুড়ো করে নিতে হবে। পরে এক টেবিল চামচ গুড়ার সাথে এক চামচ টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। পরে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
৪. মিল্ক- চন্দন গুড়া দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ আমরা সবাই জানি ত্বকের যত্নে চন্দন গুড়া এক অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা আপনার ত্বকে ফিরিয়ে আনবে ফর্সা ভাব। দুধের সাথে চন্দন গুড়া মিশিয়ে প্রতিদিন হালকা করে মেসেজ করলে অল্পদিনের মধ্যেই ত্বকে ফিরে আসবে লাবণ্যতা।
৫. টমেটো ও লেমন প্যাক দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হতে ব্যাবহার করুন টমেটো ও লেমন। কয়েক ফোটা লেবুর রসে টমেটো পিউরি মিশিয়ে ত্ত্বকে বিশেষ করে গলায় ও মুখে ব্যাবহার করতে পারেন। পরে ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন ত্বক চকচকে হয়ে গেছে। তবে যাদের টমেটোতে এলার্জি আছে তাদের জন্য এই প্যাকটি ব্যাবহার না করাই ভালো।
৬. চালের গুড়ো ও চায়ের লিকার মিশিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ খুব কম খরচে ফর্সা হওয়ার উপায় বের করতে চাইলে চায়ের লিকার আর চালের গুড়ো খুব উপকারী। আধা কাপ ঠান্ডা চায়ের লিকার নিয়ে তাতে ২ চামচ চালের গুড়া আর আধা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করে নিতে হবে। পরে এটি স্ক্রাবার হিসেবে মুখে ব্যাবহার করলে মুখের আদ্রতা বজায় থাকবে।
৭.মধু শসা ও লেবুর প্যাক দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ শসা ও লেবুর রস হতে পারে আপনার জন্য ফর্সা হওয়ার খুব সহজ উপায়। শসার রস আর মধু সমান পরিমান নিতে হবে। পরে এই মিশ্রন ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। এতে আপনার ত্বকের শুষ্কতা কমবে। আবার আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তবে মধু ব্যাবহার না করে লেবু ব্যাবহার করতে পারেন। এই উপায় আপনাকে অবশ্যই ফর্সা হতে সাহায্য করবে।
৮. পাকা কলা ব্যাবহারে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে পাকা কলা খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগান পরে ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে নিন। দেখবেন ত্বক গ্লো করছে।
৯. হলুদের প্যাক দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে আপনি চাইলে হলুদের প্যাক তৈরি করতে পারেন। যা সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করতে পারেন। ২ চামচ বেসন, ২ চামচ কাঁচা হলুদ, ২/৩ ফোটা লেবুর রস, ও ১ চামচ দুধ একসাথে নিন। পরে তা ভালোভাবে মিশান। মুখে ৫ মিনিট ম্যাসেজ করে লাগান। পরে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ত্বক মুছে নিন। দেখবেন ত্বক ফর্সা হয়ে গেছে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন কাঁচা হলুদ সবার ত্বকের জন্য আবার উপকারী নয়।
ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজে যদি আপনি ফর্সা হতে চান তবে এই প্রক্রিয়া গুলো মেনে চলতে পারেন। যা আপনাকে লাবণ্যময়, ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক উপহার দিবে। আশা করি ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। ও এই ফর্সা হওয়ার উপায়গুলো নিজেরা বাসায় চেষ্টা করবেন।