
১৯৮০ সালে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছিল এক সিনেমার। যার নাম ছিল ছুটির ঘন্টাম এই ঘটনার সাথে প্রায় মিলে গেল ২০২১ সালের আরেকটি ঘটনার। চাক্বদপুরে হোসেনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক ছত্রীকে। সে সেখানে ১১ ঘন্টা আটকে ছিল পরে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটি হলে সবাই বাড়ি চলে যায় কিন্তু বাক প্রতিবন্ধী শারমিন আক্তার। পরে রাস্তা দিয়ে যাওয়া এক ছেলে বিষয়টি দেখলে তালা ভেঙে তাকে বাইরে বের করা হয়।
ছাত্রীর পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়,শারমিন আক্তার এবারের এসএসসি পরিক্ষার্থী। সে বাক প্রতিবন্ধী কিন্তু তার পড়ার প্রতি অসীম আগ্রহ। এজন্য স্কুল খুলতেই সে বিদ্যালয়ে যায়। ১৬ সেপ্টেম্বরও সে স্কুলে যায়। সেদিন সাড়ে ১২ টায় স্কুল ছুটির সময় সে টয়লেটে ছিল। সে বের হওয়ার আগেই টয়লেটের তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছুটির পর বাড়ি না যাওয়ায় তার বাবা ও সহপাঠীরা তাকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু কেউ তাকে পায় নি।
রাত ৯ টায় আল আমিন নামের এক ছেলে স্কুলের পাশে এসে বুঝতে পারে ভিতরে কেউ আছে। পরে এলাকার লোকজন জড়ো করে ও তাকে তালা ভেঙে উদ্ধার করে। আল আমিন বলে সে টয়লেটের ভিতরে কার যেনো আওয়াজ শুনে পরে টর্চ ধরে মানুষের হাত দেখে। সে ভাবে ভূত। কিন্তু পরে সবার সহায়তায় শারমিনকে বাইরে বের করে দেখা যায় তার গলা থেকে রক্ত পড়ছে। মাস্ক রক্তে ভরা। বারবার কথা বলতে চেষ্টা করতে গিয়ে গলা দিয়ে রক্ত বের হয়েছে।
স্কুলের আয়া শাহানারা আক্তার শানু বলে তিনি নিজেই তালা বন্ধ কিরেছিলেন ৪ টার দিকে। কিন্তু ভিতরে কেউ আছে কিনা তা না দেখেই তিনি তালা লাগান বলে স্বীকার করেন তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন,তিনিও বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ছিলেন কিন্তু তার নজরে কিছু পড়ে নি। পরে রাতে বদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে দিয়ে তিনি ছাত্রীকে বাড়ি পাঠান।
ছাত্রীর বাবা এয়াত ১০ টা পর্যন্ত মেয়েকে খুঁজেছে। পরে মেয়েকে ফিরে পেয়ে বলেন আল্লাহর কাছে শুক্রিয়া যে তিনি (আল্লাহ) তার মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন তিনি উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে এই ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের গাফিলতির পরিচয় পাওয়া গেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।